ইলুমিনাতি ১০



১০ম পর্ব
আজকে কথা বলবো ইলুমিনাতির ফুড কন্সপাইরেসি নিয়ে।
আমি আগেই বলেছি One world order এর জন্য তারা পৃথিবীর জনসংখ্যা কমাতে চায়। তাই বিশ্বযুদ্ধের পাশাপাশি এটাও আরেকটা ধান্দাবাজি।
এটা ইলুমিনাতির সবচেয়ে মারাত্মক হাতিয়ার। তারা আমাদের দৈনন্দিন খাবারে অনেক পরিবর্তন আনছে।
আপনারা এতোদিনে বুঝেই গেছেন যে তারা কতোটা বিস্তৃত আর প্রভাবশালী। আমি আগেই বলেছি যে তারা পৃথিবীর মানুষ কমাতে চায়। এর জন্য বিশ্বযুদ্ধ তো আছেই, তাছাড়া আরেকটা হাতিয়ার আছে তাদের।
তারা আমাদের দৈনন্দিন সব খাবারে এস্পারটেম মিলায়। সেটা হোক একটা চকলেট,কোক, বাটার,সস। এখন এমন কোন খাবার নেই যেখানে Aspartem নেই। আগে আমরা জেনে নেই এস্পারটেম কি।
এস্পারটেম(Aspartem) কি?
এস্পারটেম হলো আর্টিফিশিয়াল সুগার। আসলে এটা একটা ব্যাক্টেরিয়া। এটাকে কিছু মডিফাই করে, এর চেহারা চেঞ্জ করে একে সুগার হিসাবে ব্যবহার করে।
এটা মানবদেহের জন্য প্রচুর ক্ষতিকর। এটা মানবদেহে বাচ্চা জন্মদানের ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। শুধু তাই না, আমরা দেখে থাকি এখন প্রচুর প্রেগনেন্সি মিস্কারেজ হয়, যা আগে এতোটা হতো না।
আমরা দেখে থাকি এখন সময় এর আগে বাচ্চা জন্ম হওয়া খুবই সাধারণ ব্যপার হয়ে হেছে। তার ও কারণ এই এস্পারটেম।
Searle নামে একটি কম্পানি ১৯৬৫,১৯৭৭,১৯৮১ সালে আমেরিকান সরকার এর কাছে এস্পারটেম ব্যবহার করার জন্য ৩ বার অনুমিত চেয়েছিল। কিন্তু প্রত্যেকবার তারা নিষেধাজ্ঞা পায়।
কারণ, Searle এর নিজের পরীক্ষায়, তারা যেই বানর গুলোর উপর টেষ্ট করছিল, তার মদ্ধ্যে সবগুলো ক্যান্সার এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।

ভাবা খুব ই কষ্টকর যে, যেই আস্পারটেম খাবার দ্রব্য ৩ বার চেষ্টা করেও বাজারে আনা যায়নি, বর্তমানে এমন কোন খাবার নেই যেখানে এস্পারটেম ব্যবহৃত হয় না।






 
তারা এটাকে ইউজেনিক্স( Eugenics) হিসাবে প্রকাশ্যে জনসাধারণে আনছে।
জনসংখ্যা কমিয়ে পৃথিবীকে বসবাসের উপযোগী করাকে Eugenics বলে।


                   
জন পি হোল্ড্রেন হলেন হোয়াইট হাউজের একজন সাইন্টিস্ট। তিনি তার বই ইকোসাইন্স বই এ এই সব ব্যপার গুলা এতো ভাল ভালে উপস্থাপন করেছেন যে, সবাই ভাবে এটা খুব ই ভাল কাজ করছে সরকার। তিনি বলেছে খাবার আর পানীয়তে এমন কিছু মেলানো উচিৎ, যাতে বাচ্চা জন্ম নিতে সমস্যা হয়।
সবচেয়ে মারাত্মক ব্যপার হলো আমেরিকার সরকার ও এই কথা স্বীকার করেছে যে এই প্রসেস যদি চলতে থাকে, আগামী ৪০ বছর এর মধ্যে জন্মগ্রহণ করা পৃথিবীর প্রতি ১০ জন এর ভেতর ৮ জন ই বাচ্চা জন্মদানে অক্ষম হবে। ইউ এস সরকার বলেছে যে এটা তাদের প্ল্যান যে তারা পৃথিবীর জনসংখ্যা ৮০% কম করবে।
আমেরিকা ও ইউরোপ এ অলরেডি এর প্রভাব শুরু হয়ে গেছে।
এই চক্রান্ত এর পেছনে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বড় ব্যক্তিত্বদের হাত রয়েছে। বিলগেটস এর "এজেন্ডা ২১" ও এই উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
"এজেন্ডা ২১" এর জন্য বিল গেটস ৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছেন। এই টাকা দিয়ে আফ্রিকা, ইন্ডিয়া আর পাকস্তান এ কিছু ভেক্সিন দেয়া হচ্ছে। রিসেন্ট একটা সারভে তে দেখা গেছে এই ভেক্সিন এর কারনে ইন্ডিয়া আর পাকিস্তান এ অনেক বাচ্চা বিকলাঙ্গ হয়েছে আর মারা গেছে।

এজেন্ডা ২১ এর একটা এড এ বলা আছে, আময়াদের অনেক সময় বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম হয়। এদের পিছনে টাকা খরচ না করে আমাদের উচিৎ যারা ভাল আছে তাদের পেছনে টাকা খরচ করা। অর্থাৎ, এবনর্মাল সবাইকে মেরে ফেলা হবে।
বাচ্চারা এমন এবনর্মাল আর বিকলাঙ্গ হচ্ছে "এজেন্ডা ২১" এর ভেক্সিন আর এস্পারটেম এর জন্য। এটা একটা চক্রের মতো কাজ করছে।
এই পোস্ট এর জন্য এলেক্স জন্স(মার্কিন সাইন্টিস্ট) এর ভিডিও থেকে সাহায্য নেয়া হয়েছে। আপনারা ওই ভিডিও টা দেখতে পারেন। আরও ডিটেল্স পাবেন।
তিনি তার ভিডিও তে বলেছেন, এগুলো সব ইচ্ছা করে করা হচ্ছে এবং এর পেছনে অনেক বড় হাত কাজ করছে।





এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ইলুমিনাতি ৮

ইলুমিনাতি ৭

ইলুমিনাতি ৩