ইলুমিনাতি ১১



১১তম পর্ব
আজ আমরা কথা বলবো "666 The number of beast"
আমরা সবাই দাজ্জাল এর নাম শুনেছি।আমরা যাকে দাজ্জাল হিসাবে চিনি, বাইবেল তাকে The beast বলা হয়েছে। খ্রিষ্টানরা একে Anti-Christ ও বলে থাকে।
অতএব, তারা ও বিশ্বাস করে যে The beast(দাজ্জাল) পৃথিবীতে আসবে।
প্রথমত আমরা বাইবেল থেকে Revelation এর অধ্যায়13 এর ১৬-১৮ লাইন পড়ি।
" And he causeth all, both small and great, rich and poor, free and bond, to receive a mark on their right hand or in their foreheads. And that no man might buy or sell, save he that had the mark, or the name of the beast, or the number of his name. Here is wisdom. Let him that hath understanding count the number of the beast; for it is the number of a man; And his number is six hundred threescore and six."
অর্থাৎ, " আর তিনি সকল বড়-ছোট, ধনী-গরীব, মুনিব-দাস দের ডান হাতে অথবা ঘাড়ে ছাপ দিয়ে দেয়। এবং তারা কিনতে, বিক্রি করতে এবং সংরক্ষণ করতে পারবে না যাদের মাথায় বিস্ট(Beast) এর ছাপ নেই অথবা তার নামের নাম্বার নেই। এখনই উত্তম সময়,তার জন্য যে ভাবে যে, সে এই নাম্বার পড়তে পারবে,তাই এটি একটি মানুষের নাম্বার এবং তার নাম্বার হলো ছয় শত ছেষট্টি।"
(বিঃদ্রঃ শেষ লাইন এর অনুবাদ ভুল হতে পারে)
বাইবেলে শুধু একবারই 666 এর কথা বলা হয়েছে। আর কোথাও বলা হয়নি।
কিন্তু বিস্ট এর কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিস্ট পৃথিবীতে মানুষ রূপে আসবে। কিন্তু ভেতরে রূহ থাকবে শয়তান এর প্রদত্ত হবে। তাকে দিয়ে শয়তান পৃথিবীতে যা খুশি করাবে এবং নিজেকে সর্বশক্তিমান হিসাবে পরিচয় দেওয়াবে। Beast কে মানুষ রূপি দানব ও বলা হয়।
666 এর ব্যবহার অলরেডি শুরু হয়ে গেছে। গুগল ক্রোম, এডোভ প্লেয়ার, প্লে স্টোর, ডিজনি, রেড চিলিস, মার্সিডিজ আরও অনেক জায়গায় 666 এর চিহ্ন দেয়া আছে।
-আমি নিচে এগুলোর ছবি দিচ্ছি।






এগুলা তো শুধু নমুনা, নিকট ভবিষ্যতে 666 এর ব্যবহার আরও প্রচন্ড প্রবল হবে।
এখন আসি RFID chip এর টপিক এ,
RFID কি?
RFID হচ্ছে Radio Frequency Identification. এটা এখন প্রায় তৌরীর শেষ পথে। এটা হলো ইলেক্ট্রনিক আইডি চিপ। এটা ইউ এস গভার্নমান্ট ২০১৮ এর ভেতরে সার্ভিসে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটা হলো একধরনের বায়োমেট্রিক আইডি কার্ড। কিন্তু একে নিয়ে ঘুরতে হবে না। এটাকে আমাদের ঘাড়ের পেছনের দিকে Spinal cord এ স্থাপন করা হবে।




আমরা জানি, আমাদের spinal cord আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলোর মধ্যে একটি। এটা সরাসরি ব্রেইনের সাথে কানেক্টেড এবং ব্রেন থেকে মেরুদণ্ড পর্যন্ত বিস্তৃত।
স্পাইনাল কোর্ড এ ৬ ভোল্ট এর কারেন্ট থাকে। আমাদের ব্রেন স্পাইনাল কোর্ড এর মাধ্যমে বৈদ্যুতিক শক্তিতে বিভিন্ন মেসেজ পাঠায়। প্রথমে ব্রেইন ঠিক করে আমরা কি করব, তার পর সে স্পাইনাল কোর্ড এর মাধ্যমে শরীরের সব অঙ্গে নির্দেষ পাথায়। এমনকি আমাদের চোখের পলক ফেলার জন্য ও স্পাইনাল কোর্ড নির্দেষ দেয়। শুধু তাই না, এটা আমাদের হার্ট বিট, ব্লাড প্রেশার আর শ্বাস এর রেট কন্ট্রোল করে।
স্পাইনাল কোর্ড এ RFID chip বসানো হলে, এটি ইলেক্ট্রক সাপোর্ট পাবে এবং এক্টিভেট থাকবে।
আমি প্রথমবার RFID chip এর কথা শুনেছি, অনেক খুশি হয়েছিলাম। কারণ এটি এমন একটি চিপ যাতে আমাদের সব ইনফোর্মেশন থাকবে। বার্থ সার্টিফিকেট, এডুকেশন কোয়ালিফিকেশন, ব্যাংক ব্যালেন্স সব। শুধু chip স্ক্যান করেই সব ইনফোরমাশন নিয়ে নেওয়া যাবে।
এমনকি RFID chip লাগানোর পর এটা দিয়েই সব ধরনের টাকা ট্রানজেকশন করতে হবে। তখন কোন নোট বা বিল ব্যবস্থা থাকবে না।
আমারা অনেকে Cryptocurrency এর ব্যপারে জানি। এটা হলো ডিজিটাল কারেন্সি। RFID chip লাগানোর পরই পৃথিবীতে এই ডিজিটাল কারেন্সি চালু হবে। এই কারেন্সি চালু হলে আমাদের পকেটে কনো টাকা থাকবে না। সব টাকা থাকবে আমাদের RFID chip এ। ১৯ আগষ্ট, ২০১৩ তে জার্মানি তে অলরেডি Bitcoin চালু হয়ে গেছে।(Bitcoin cryptocurrency)
সুতরাং তখন সবার ই RFID chip ইউজ করতে হবে। এটা ছাড়া আমরা কেনাকাটা,চাকরি, ব্যবসা কিছুই করতে পারবো না। তখন বেচে থাকার জন্য এটা আমাদের ফান্ডামেন্টাল এলিমেন্ট হয়ে যাবে
তাহলে দেখেন, বাইবেলে The beast এর ছাপ, যা আমাদের ঘাড়ে থাকবে এবং এটা ছাড়া কেনাকাটা করা যাবে না, এই কথা টি সত্য হয়ে দাঁড়ালো।
RFID চিপ ব্যবহার করে ইকনমি ডেভেলপ করা শুধু একটা বাহানা। আসলে এটা দিয়ে আমাদের মাইন্ড কন্ট্রোল করা হবে। শুধু মাইন্ড না। আমাদের উপর ফুল কন্ট্রোল নিয়ে নেয়া হবে। আমাদের শ্বাস নেওয়া ও তাদের হাতে থাকবে।
তখন তারা আমাদের মাইন্ড কন্ট্রোল করবে এবং মডিফাই ও করবে। এটা কনো বড় ব্যাপার না। ড. হোজেড নামে একজন বিজ্ঞানী ১৯৬০ এর দশকে মাইন্ড কন্ট্রোল এর চেষ্টা করেছিলেন গরু ও বানরের উপর। এবং তিনি সফল হয়েছিলেন। যেই গরু লাল কাপড় দেখলে রেগ্ব যেত, সে spinal cord এ চিপ বসানোর পর আর রেগে যায় না।
ভিডিও লিংক- https://youtu.be/23pXqY3X6c8
তখন তো ১৯৬০ ছিল, আর এখন ২০১৭। এখন এটা কনো ব্যাপারইই না
আমরা RFID chip এর ব্যাপারে সচেতন থাকবো। আর এটা লাগাতে দিব না, কারণ একবার লাগানোর পর আর কিছুই কারার থাকবে না। কন্ট্রোল করা শুরু হয়ে যাবে। এটা স্বাধীনতারর ভেতরে পরে না। আমরা এর বিরুদ্ধে স্ট্যান্ড নিব।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ইলুমিনাতি ৮

ইলুমিনাতি ৭

ইলুমিনাতি ৩