ইলুমিনাতি ৪
৪র্থ পর্ব
আলোচনা
টি শুরু করার আগে আমি বলতে চাই,
-অনেকেই বলছে যে ইলুমিনাতি আর ব্ল্যাক মেজিক এর সম্পর্ক কি?
তাদের
কে বলতে চাই আমি দ্বিতীয় পর্বে এই ব্যপারে আমি কিছু আলোচনা করেছি (সংক্ষেপে) , দয়া করে সেটি দেখুন।
আপনারা চাইলে এই ব্যপারে আরও বিস্তারিত আলোচনা করতে পারি।(জানাবেন)
৯/১১
এর ঘটনা টা কি?
সাল
২০০১,দিন
১১ই সেপ্টেম্বর। এই দিন টি আমেরিকার ইতিহাসের একটি কালোদিন।এইদিন আমেরিকার দুইটি
বিক্ষাত স্থাপনার উপর মোট ৪ টি আত্তোঘাতি বিমান হামলা হয়। নিম্নে ঘটনা টি বর্ননা
করা হলোঃ-
তখন
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন জুনিয়র বুশ। এবং তিনি পরবর্তী নির্বাচন এর ক্যান্ডিডেট
ও ছিলেন।
সকাল
৭:৪০ বাজে, সুন্দর রৌদ্রজ্জল দিনটি বয়িং-৭৬৭ নামক একটি এরোপ্লেন হঠাত এয়ারপোর্ট এর
রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ধারণা করা হয়েছিল প্লেনটি হাইজেক হয়েছে। ২০,০০০ লিটার ফুয়েল সহ সকাল ৮:৪৫ এ প্লেনটি আমেরিকার বিক্ষাত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার
(টুইন টাওয়ার) এর উত্তর পাশের বিল্ডিং এর ৮০ তম তালায় আঘাত করে (ক্রাশ করে)। প্রায়
১০০ জন তখনই মারা যায়। এবং আরও অনেক জন উপরের তলা গুলোতে আটকা পরে।
প্রথম
হামলার ১৮ মিনিট পর ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স এর ফ্লাইট-১৭৫ (সেটাও বয়িং-৭৬৭) মাটি থেকে
আকাশে উঠে এবং দক্ষিন পাশের বিল্ডিং টি তে ক্রাশ করে। এই আঘাত টা বিশাল বিস্ফোরন
সৃষ্টি করে।
আবার
৯:৪৫ এ ওয়াশিংটন এ অবস্থিত প্যন্টাগন এর পশ্চিম দিকে আঘাত করে আমেরিকান এয়ারলাইন
এর আরেকটি বয়িং-৭৬৭( ফ্লাইট-৭৭)।
- প্যন্টাগন হচ্ছে আমেরিকার মিলিটারি হেডকোয়াটার।
প্যন্টাগন
এ হামলায় ১২৫ সামরিক ব্যক্তি ও সিভিলিয়ান সহ ফ্লাইট এ অবস্থিত আরও ৬৪ জন মারা যায়।
আরেকটি
প্লেন ৫০০ মাইল প্রতি ঘণ্টা গতিতে ওয়েস্টার্ন পেনসিলভানিয়া তে আঘাত করে।
এই
দিনের হামলায় প্রায় ৩০০০ জন নিহত ও ১০০০০ জন আহাত হয়।
পরে
জানা জায় সবগুলো প্লেন ই হাইজেক হয়েছিল।
এখন
আসেন আমরা বিশ্লেষণ করি। আমার বিশ্লেষণ আপনাদের মতের বিরুদ্ধে হতে পারে।
শুরুঃ
প্রথমে
world trade center
৯/১১-এ
বিমান দিয়ে টুইন টাওয়ার ধ্বংস করার যে দৃশ্যটি আমরা টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছি তার
সত্যতা, বৈজ্ঞানিক
ভিত্তি নিয়ে রয়েছে বড় ধরনের প্রশ্ন। কিছুদিন আগেও এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এমন প্রশ্ন
তোলা হয়েছে। স্টিল-কাঠামোর কোনো গগনচুম্বি ভবন আগুনের কারণে ভেঙে পড়েছে, গত ১০০ বছরের ইতিহাসে এমন নজির নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের ভবনে যে স্টিল ব্যবহার করা হয় তা উন্মুক্ত স্থানে অগ্নিকাণ্ডের
কারণে সৃষ্ট তাপমাত্রায় গলতে পারে না। জেট ফুয়েল হল পরিশোধিত কেরোসিন, যা সবচেয়ে অনুকূল অবস্থায় (যথাযথ বায়ুপূর্ণ অবস্থা) ৭০০-৮২০ ডিগ্রির মতো
সেন্ট্রিগ্রেড তাপমাত্রায় পুড়ে। এমনকি আগুন যদি এতটা উত্তপ্ত হয়ও, সেক্ষেত্রে সেটা স্টিলের কাঠামো গলিয়ে দিতে পারে না।
কিন্তু
world trade center এ যেই স্টিল ব্যবহার করা হয় সেটা গলতে কমপক্ষে ১০৪০ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা
প্রয়োজন ছিল।
স্টিল
পুড়ে গলে পড়ে যেতে পাড়ত,
ভেঙে পড়লো কিভাবে?
এবার
প্যন্টাগন এ আসি,
যুক্তরাষ্ট্রের
প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দফতর পেন্টাগনের ওপর বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায়। বলা হয়ে থাকে, বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর
নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংবলিত ভবন এটি। পেন্টাগনের রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাধুনিক
রাডার ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। রয়েছে অ্যান্ড্রুস এয়ার ফোর্স ঘাটি, পেন্টাগনের সুরক্ষার জন্য যেখানে ১১ মাইল পর্যন্ত এলাকাজুড়ে সবসময় সতর্কতা
ব্যবস্থাসহ যুদ্ধবিমান প্রস্তুত থাকে। অথচ নিউইয়র্কে কথিত হামলা শুরু হওয়ার ১
ঘন্টা ২০ মিনিট পর পেন্টাগন আক্রান্ত হলেও সেখানে কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয়
করা হয়নি কেন?
করা হয়নি কেন?
আপনি
কি জানেন আমেরিকার সমরিক বাজেট পৃথিবীর সর্ববৃহৎ।
চলতি
৫ বছর এর সামরিক বাজেট ৬৬২ বিলিয়ন ডলার, যেখানে রাশিয়ার ৩২৪ বিলিয়ন(২য় স্থানে), চিন ১৯৬ বিলিয়ন(৩য় স্থানে)
তারা
আমেরিকার ধারে কাছেও নাই। এমন কি বাজেট এর লিস্ট এ আমেরিকার পর পরবর্তি ৯ টি দেশের
বাজেট যোগ করলেও তাদের সমান হয় না।
সেই
দেশের প্রতিরক্ষা হেডকোয়াটার এ হামলার কনো ভিডিও ফ্রুটেজ পাওয়া যায় নি।
যেহেতু
প্যন্টাগন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আমেরিকা একটি স্যাটেলাইট রাখে শুধু এর উপর
নজরদারির জন্য।
সেই
স্যাটেলাইট ফ্রুটেজ ও পাওয়া যায় নি।
এমন কি প্যন্টাগন এর কাছে যে একটি
বিমান যাচ্ছে, স্যাটেলাইট সেই বার্তা বিমান ঘাটি তে পৌছায়নি। হাউ লুল😂 আমার মনেহয় বাংলাদেশ এর বুকে
ও এটা সম্ভব ছিল না।
বার্তা
পৌছালে বিমান বাহিনী সেটাকে প্রতিহত করতে পারতো। কিন্তু
বুশ এইসময় একটা বাচ্চা দের স্কুল এ ছিল তিনি যখন এই ঘটনা শুনেন তাকে কোন চিন্তিত
হতে দেখা যায় নি।।। সবচেয়ে বড় কথা আল কায়দা যত ঘটনা ই ঘটিয়েছে তা ভিডিওর মাধ্যমে
প্রকাশ করেছে কিন্তু এ ঘটনার কোন দায় তারা নেন নি।।।
-আমি নিচে ধ্বংসপ্রাপ্ত প্যন্টাগন এর একটি ছবি দিচ্ছি। ছবিটা দেখে কি মনে
হচ্ছে আপনার বিবেককে জিজ্ঞাস করুন। আমার মনে হচ্ছে বিল্ডিং টি কে কনো যন্ত্রের
মাদ্ধমে সমান করে কাটা হয়েছে। বিমান ক্রাস করলে বিল্ডিংটি এতো সমান করে ভাঙে পড়তো
না।
এবার
আসি ওয়েস্টার্ন পেনসিলভানিয়া তে,
পেনসিলভানিয়া
তে এতো বড় গর্ত হয়েছিল যে বিশেষজ্ঞ রা মনে করেন বিমান টি ৫০০ মেইল প্রতি ঘণ্টা গতি
তে এসেছিল।
-কিন্তু একটি যাত্রীবাহী বিমান কখনোই এতো গতি তে চলতে সক্ষম না। সর্বোচ্চ
গতি ২০০-২৫০
তাই
আমার মতে এটি একটি সাজানো নাটক।
এই নাটক করে কাদের এবং কি লাভ হয়েছে তা পরবর্তী পোস্ট এ আলোচনা করবো। এবং এটার সাথে ইলুমিনাতির কি সম্পর্ক তাও বলব।
আরও
অনেক কিছু বলার ছিল, কিন্তু তাহলে লেখা অনেক বড় হয়ে যাবে, এবং আপনাদের
পড়তে বিরক্ত লাগবে