ইলুমিনাতি ২



#ইলুমিনাতি
২য় পর্ব
শয়তান এর পরিচয়ঃ-
আমরা মুসলমানরা ইবলিশ শয়তান এর ব্যপার এ অনেকটা জানি।
ইবলিশ প্রথমে এ ধুয়া বিহিন আগুন দ্বারা তৈরি জিন ছিল। পরবর্তীতে আল্লাহ তার ইবাদত এর উপর খুশি হয়ে তাকে ফেরেশতাদের সর্দার বানায়।
এরপর আল্লাহ ফেরেশতাদের কাছে এমন একটি জীব বানানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন যারা হবে সৃষ্টির সেরা জীব; যাদের থাকবে বিবেক-বুদ্ধি(যা ফেরেশতাদের নেই),তাদের ক্ষমতা থাকবে সীমাবদ্ধ। তন্দ্রা,নিদ্রা,ক্লান্তি তাদের স্পর্শ করবে। তাদের ভুল পথে যাওয়ার ক্ষমতা থাকবে(যা ফেরেশতা দের নাই)। কিন্তু তারা যাবে না। তারা থাকবে আল্লাহ এর ইবাদত এ মগ্ন।
(ফেরেশতারা আল্লাহ এর হুকুম এর বাইরে কনো কাজ করতে পারে না। মানুষ যেকনো খারাপ কাজ করার ক্ষমতা রাখে কিন্তু তবুও তারা করে না। তাই মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব)
ইবলিশ অভিশপ্ত হওয়ার করনঃ-
আল্লাহ হযরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টির পর ইবলিশ কে বললো তাকে সিজদাহ করতে বললে সে অহংকার করে এবং সিজদাহ করতে অস্বীকার জানায়। তাই আল্লাহ তাকে অভিশপ্ত ঘোষণা করেন।
ইলুমিনাতিয়াম দের ভুল ধারনাঃ-
যারা ইলুমিনাতি করে তাদেরকে ইলুমিনাতি করে বা শয়তাম এর পুজা করে তারা মনে করেন শয়তান আদম (আঃ) কে সিজদাহ না করে ভালো করেছে। আল্লাহ ইবলিশ কে সিজদাহ করতে বলে তার অবিচার করেছেন(নাউজুবিল্লাহ)। তারা আরও ভাবেন, ইবলিশ জান্নাত এ গিয়ে আদম (আ) ও মা হাওয়া কে সত্য-মিথ্যার সঠিক জ্ঞান দায়, তাই তারা নিষিদ্ধ গাছের ফল খায়।এবং জান্নাত থেকে পৃথিবিতে চলে এসেছেন(আল্লাহ মাফ করুন)। তাদের মতে ইবলিশ আল্লাহ এর এক-তৃতিয়ায়াংশ ফেরেশতা নিয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে।
(কিন্তু আগেই বলেছি ফেরেশতা দের কনো বিবেক,ইচ্ছা,আকাঙ্ক্ষা নাই এবং তারা আল্লাহতালার হুকুম ছাড়া কনো কাজ করতে পারে না। তাই বিদ্রোহ করার প্রশ্নই আসে না।)
লুসিফার কি?
লুসিফারই হইলো ইবলিশ শয়তান। বাইবেল হলো আমাদের আসমানি কিয়াব(যাকে আমরা ইঞ্জিল নামে জানি।) ইঞ্জিল হযরত ইসা (আ) এর উপর নাজিল হয়েছে। ইঞ্জিল নাজিল হয়েছে হিব্রু ভাষায় নাজিল হয়েছিল। সেটাকে ইংরেজিতে রূপান্তর করা হয়। যেহেতু প্রত্যক আসমানি কিতাব আকেকটি সাহিত্য, তাই অন্য ভাষায় রূপান্তর হওয়ার কারণে শুধু তার অর্থ পরির্তনই হয়নি, বরং কিছুটা উলটিয়েও গেছে।
-দুক্ষের বিষয় আসল ইঞ্জিল বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এখন আর তা খুজে পাওয়া যাবেনা।
লুসিফার এর অর্থ জ্ঞান প্রদানকারী বা আলোকিত কারি। এবং বাইবেলে তাকে শয়তান না বরং জ্ঞান প্রদানকারী বলা হয়েছে।
এবং শয়তান নাকি অন্য কেউ। কে তা পরে বলবো।
আমরা সবাই জানি শয়তান মানুষকে বিপথগামী করতে প্রতিঞাবদ্ধ। এবং আল্লাহতালা তাকে তিনটি শক্তি ও দিয়েছেন তার পুর্বের অনেক ইবাদত এর জন্য। এই শক্তির বলেই সে মানুষকে বিপথগামী করছে।
বাইবেল এর কিছু ভুল অর্থের করনে কিছু মানুষ শয়তান দ্ব্রারা প্রভাবিত হয়। এমনকি তারা জীবনে সফলতার জন্য শয়তান এর পূজা করে। শয়তান তাদের সফলতা দেয় এবং তাদের দ্বারা কিছু কাজ করায়। তাদেরকে সফলতা দেওয়ার পেছনেও শয়তান এর কিছু উদ্দেশ্য আছে। 
তা নিয়ে আমরা পরবর্তী পর্বে আলোচনা করবো।
-ভাববেন না আমরা সফলতা পাবো না, কারণ ইমানদার দের জন্য শুধু আল্লাহতালা ই যথেষ্ট। তিনি সর্বশক্তিমান এবং আরও অনেক বেশি কিছ দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। শুধু বিশ্বাস রাখুন এবং চেষ্টা চালু রাখুন।😊

শয়তানের মাথা গরুর মতো কেন???
এটা গরু না
, বন্য ছাগল এটা। এইটা কল্পনা প্রসূত।ইল্যুমিনাটিদেরও আগে নাইটস টেম্পলার সিক্রেট সোসাইটির লোকেরা ব্যাফোমেট নামক একটা এনটিটির ওরশিপ করত।এটা তারে সিম্বলাইজ করে বানানো ছবি।পরে ইল্যুমিনাটি,ফ্রিমেসন সহ সব সেটানিক গ্রুপ এই ছবি ইউজ করা শুরু করে
বিঃদ্রঃ- বাইবেল পুরোপুরিভাবে ভুল না। কিছু মানুষ ভুল বুঝে নিয়েছে।

পরবর্তী পর্বে এ কোন কোন বিখ্যাত ব্যক্তি ইলুমিনাতি করে এবং শয়তান এর সাথে কমিউনিকেট করার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো।








এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ইলুমিনাতি ৮

ইলুমিনাতি ৭

ইলুমিনাতি ৩