ইলুমিনাতি ৬




#ইলুমিনাতি
৬ষ্ঠ পর্ব
আমি গত পর্বে বলেছিলাম যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইহুদিদের ভূমিকা নিয়ে কথা বলবো।
গত পর্বে আমি বলেছিলাম যে ইহুদিরা(Jews) আমেরিকার মোট জনসংখ্যার মাত্র ৭%, কিন্তু তারা আমেরিকার মোট সম্পদ এর ৫০% এর অধিকারী। আপনি যদি কখনও আমেরিকাতে গিয়ে থাকেন অথবা আপনার পরিবার এর কেউ গিয়ে থাকেন তার থেকে জানতে পারবেন যে আমেরিকাতে ইহুদী দের প্রভাব কেমন!
প্রথমত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এর এডলফ হিটলার ইলুমিনাতির উদ্দেশ্য সাধন এর জন্যই সৃষ্টি। কিভাবে তা পরে বলবো। এখন আসল কথা আসি।

আমরা জানি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার প্রায় ৬০ লক্ষ ইহুদী হত্যা করে। তাই তিনি হলেন সর্বকালের সবচেয়ে ঘৃন্য ব্যক্তি। কিন্তু কথা হলো তিনি সব ইহুদী দের মারলেন কেন? বর্তমান এর আমেরিকার মতো তখনও জার্মান এ ইহুদীরা ছিল অর্থনৈতিক ভাবে খুবই শক্তিশালী। শুধু তাই না, তারাই তখন জার্মানির প্রায় সব কারখানার মালিক ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের যুদ্ধের মাঝামাঝি পর্যায়ে তারা অস্ত্র উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। সেকারনে জার্মান বাহিনীর অনেক সমস্যায় পরতে হয়। তারা আরও আরও একটা কাজ করে। অস্ত্র না পাওয়ার কারনে যখন যুদ্ধে জার্মান বাহিনীর খারাপ অবস্থা ছিল, তখন তারা একটা প্রোপাগান্ডা ছড়ায় যে, যুদ্ধে খারাপ অবস্থার কারনে সৈনিকদের অর্ধেক বেতন দেওয়া হবে। তাই সবার ভেতরে যুদ্ধের ব্যপারে অনিহা কাজ করে।
২য় বিশ্বযুদ্ধে হিটলার একই ভুল করতে রাজি ছিলেন না।তাই সে রাষ্ট্র দ্রোহিতার বাহানায় নাচ্ছি বাহিনী ইহুদীদের মারা শুরু করলো। কারন, দেশে ইহুদি থাকলে যুদ্ধ জিতা সম্ভব না। তাই হিটলার হয়ে গেল(The worst Hitler)
কিন্তু তিনি যদি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জয়ী হতে পারতেন তবে হয়তো পরে শান্তিতে একটা নোবেল পুরষ্কার ও পেতেন।
এমনকি, ১৯৩৮ এ শান্তি নোবেল পুরষ্কার এর জন্য তার নামও নমিনেট হয়েছিল। যা আমরা কেউই হয়তো জানিনা।
যে জন্য এই কথা বললাম, আমেরিকা যদি এখন চুদুরবুদুর করে, তাহলে তাদের অবস্থা ও জার্মান এর মতো হবে। এভাবে আমেরিকা তাদের হাতে বন্দী।
আরও বলেছিলাম যে, আজ ইলুমিনাতির সাইন নিয়েও আলোচনা করবো-
ইলুমুনাতির সাইন বা চিহ্ন হলো একটি ত্রিভুজের ভেতরে একটা চোখ। এই সাইন ব্যবহার করার কন্সেপ্ট টা আসে মিশরের পিরামিড থেকে। আমরা জানি মিশরের পিরামিড পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের একটি। কিন্তু কেন?
যিশু খ্রিষষ্টের জন্মের ও প্রায় ৫০০০ বছর আগে মিশরে নীলনদের তীরে পিরামিড এর সভ্যতা গড়ে উঠে। কিন্তু সেই পিরামিড এর কিছু অসাধারণ তথ্য আমাদের এই যুগের বিজ্ঞানীদের কে ও অবাক করে দেয়।
আমরা এখন সেই তথ্য গুলো জানবো।
পিরামিড এর স্ট্রাকচার হলো আসলে একটি রেশনাল স্ট্রাকচার। দেখা গেছে এই স্ট্রাকচারটাই সবচেয়ে ভূমিকম্প সহনীয় স্ট্রাকচার। তখনকার মানুষ এটা জানলো কিভাবেhttps://www.facebook.com/images/emoji.php/v8/f2c/1/16/1f631.png😱 এই শেপ এর কারনে গত ৩০০০ বছরে প্রায় ১৬ টি মারাত্মক ভূমিকম্পকে হেলা করে দাঁড়িয়ে আছে এই পিরামিড গুলো।


পিরামিড গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন পিরামিড হলো গির্জার খুফুর পিরামিড। ফারাও রাজা খুফু নিজে এটি নির্মান করেন। সেই পিরামিড এর প্রতিটি পাথর এর ওজন প্রায় ৬০ টন। আমাদের জানা মতে তখন কনো মালবাহী গাড়ি ছিল না। তাহলে মরুভূমির বালুর মধ্যে এগুলো কি মানুষ বহন করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেত? বালুর মধ্যে তো হাটাই অনেক কঠিন।
শুধু তাই না খ্রিষ্টপূর্ব ২৫৬০ এ এটা নির্মান করা হয়। ১৭৮৯ সালে আইফেল টাওয়ার হওয়ার আগে পর্যন্ত ৪৪০০ বছর ধরে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে উচু স্থাপনার গৌরব ধরে রেখেছিল। (অন্তত আমার ধারনার বাইরে এটাhttps://www.facebook.com/images/emoji.php/v8/f2c/1/16/1f631.png
😱)
প্রথমে ধারনা করা হয়েছিল এই পিরামিড বানাতে ১ লক্ষ লোক এর ২০ বছর সময় লেগেছিল। কিন্তু পরে জানা যায় সময় তার চেয়ে অনেক কম লেগেছে।
শুধু মিশর না, পৃথিবীর আরও অনেক জায়গায় পিরামিড দেখা যায়। কনো যান্ত্রিক সুবিধা ছাড়া এটা কিভাবে সম্ভব?
আমার কাছে সবচেয়ে মারাত্মক ব্যপার হচ্ছে, পিরামিড গুলো এমন ভাবে তৈরী করা হয়েছে যে, দিনের শুরুতে একদম প্রথমে সূর্যের আলো পিরামিড এর চুড়ায় পরে। এবং পরে সব যায়গায় ছড়িয়ে যায়। এবং দিন শেষ এ ঠিক এর উল্টোটি হয়। এটা কিভাবে করা হয়েছে তা আজও একটা রহস্য।


পিরামিড এর পাথর গুলো এতো ধারালো ও মসৃণ ছিল যে তা খুব আধুনিক যন্ত্র ছাড়া কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। পাথর গুলোর মাঝে কনো বাতাস ঢোকার ও জায়গা নেই।
শুধু তাই না, ধারনা করা হয় প্রতিটা পিরামিড এর থিওরি মহাকাশ এর কনো না কনো নক্ষত্র থেকে নেওয়া। কিন্তু তা এখনও তা পুরাপুরি জানা জায় নি।
- যেহেতু ইলুমিনাতির ভাষ্যমতে তারা জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে, তাই তারা পিরামিড এর সাইন ব্যবহার করে।


-কিন্তু মাঝখানের চোখ টা কি?
তা নিয়ে পরের পোস্ট এ আলোচনা হবে।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ইলুমিনাতি ৮

ইলুমিনাতি ৭

ইলুমিনাতি ৩