ইলুমিনাতি ৯



৯ম পর্ব
আমেরিকার ওয়ান ডলার এর ছবি আমরা অনেকেই দেখেছি।
আমি নিচে ওয়ান ডলারের কিছু ছবি দিচ্ছি। (মিলিয়ে দেখেন)
ইলুমিনাতি সব সময় ৯/১১ এর মতো আকাম করার আগে কিছু সিম্পটম দেয়। এটা ওদের একটা পলিসি। তারা নোটের মাধ্যমে নিজেদের আত্মপ্রকাশ করে।
কিভাবে?
১/ One dollar এর পিছন সাইড এ পিরামিড এর উপরে লিখা আছে, "ANNUIT COEPTIS" অর্থাৎ "আমাদের সফলতা"

পিরামিড এর নিচে লিখা, "NOVUS ORDO SECLORUM"
NOVUS = New
ORDO = Order
SECLORUM= World
মানে, নিউ ওয়ার্ল্ড ওরডার
অর্থাৎ, এখানে বলা হয়েছে New world order হলো আমাদের সফলতা।
বিঃদ্রঃ one world order কে new world order ও বলা হয়।
২/ ডলারে পিরামিড এর ছবিতে, পিরামিড এর ১৩ টা লেয়ার দেখানো হয়েছে। এটা ইহুদিদের ১৩ টা গোষ্ঠী কে নির্দেষ করছে। আমরা জানি যে মুসা (আ) তার লাঠি দিয়ে নীলনদ এ ইশারা করে এবং সেখানে ১৩ টা রাস্তা হয়ে যায়। এবং সেখান দিয়ে ১৩ টা বনী ইসরাইল গোষ্ঠী নদী পার হয়।
৩/পিরামিড এর নিচে লিখা ১৭৬৮। সবাই ভাবে এটা হয়তো এটা আমেরিকা আবিষ্কার হওয়ার সাল। তাই দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটা দেয়া হয়েছে কারন এটা ইলুমিনাতির প্রতিষ্ঠা সাল।
৪/ পিরামিড এর দান দিকে একটা চিল এর ছবি আছে। চিলের এক হাতে একটা গাছের ডাল, যেখানে ১৩ টা পাতা এর ১৩ টা ফল এর মতো কিছু আছে। (কি ফল জানি না)
অন্য হাতে ১৩ টা তির আছে। এবং মাথার উপরেও ১৩ টা তারা আছে। এখানেও ওদের ১৩ টা ব্ল্যাডলাইন কে নির্দেষ করছে।


৫/ ডলার এর অপর পাশে পাতার পিছনে একটা প্যাঁচা আছে। প্যচা হলো বাহিমিয়ান সোসাইটির প্রতিক।
প্রতি বছরের দ্বিতীয় সপ্তাহে আমেরিকার সব জীবিত প্রেসিডেন্ট, জীবিত জজ, ও অনেক সেলিব্রেটি রা ক্যালিফোর্নিয়ার বাহিমিয়া তে একত্রিত হয়। তারা সেখানে শয়তানের পূজা করে বলে অভিযোগ ও আছে। CCN এ একবার এর ভিডিও ফ্রুটেজ ও দেয়া হয়েছিল। youtube এ পেতে পারেন।
সেখানে তারা লাল ও কালো রঙের কাপর পরে যায়, এটা ফ্রিমেসন এর অনেক জায়গাতেই লক্ষ্য করা যায়।


*এখন আমরা বিশ্ব-রাজনীতিতে ইলুমিনাতির প্রভাব নিয়ে আলোচনা করবো।
আমরা জানি বিশ্ব-রাজনীতিতে আমেরিকা আর রাশিয়া অনেক প্রভাবশালী। দুই দেশই প্রায় সমান প্রভাবশালী, কিন্তু অনেকের মতে আমেরিকা বেশি প্রভাবশালী।
আমেরিকার সব প্রভাব তাদের অস্ত্র আর সামরিক বাহিনীর। তাদের সামরিক খাতে চলতি ৪ বছর এর বাজেট ৫৯৬ বিলিয়ন। পৃথিবীতে এমন বড় সামরিক বাজেট এর নিদর্শন আর নেই।

এখন চিন্তার বিষয় হলো, আমেরিকা কি কারনে এতো বড় বিনিয়গ করলো? একদিকে আমেরিকার। কিন্তু চিন্তার বিষয় হলো, এতো বড় বাজেট কেন?
যেখানে,
২য় স্থানে, চীন - ২১৫ বিলিয়ন
৩য় স্থানে, সৌদি -৮৭.২ ,,
 
৪র্থ স্থানে, রাশিয়া -৬৬.৪ ,,
 
৫ম স্থানে, ইউ কে -৫৫.৫ ,,
 
৬ষ্ঠ স্থানে, ভারত -৫১.৩ ,,
 
৭ম স্থানে, ফ্রান্স -৫০.৯ ,,
 
৮ম স্থানে, জাপান -৪০.৯ ,,
 
৯বম স্থানে, জার্মানি -৩৯.৪ ,,
 
________________________________
মোট =৬০৬.৬ বিলিয়ন
অর্থাৎ, পরবর্তী ৯ টা দেশের সামরিক বাজেট আমেরিকার সমানhttps://www.facebook.com/images/emoji.php/v8/f2c/1/16/1f631.png😱
এটা সিরিয়া ম্যেটারের জন্য বিনিয়োগ করে নাই। কারন সিরিয়া মেটারে আমেরিকা তার সব শক্তি প্রয়োগ করলে আমেরিকার জয় ছিল অনিবার্য। তাছাড়া সিরিয়া ম্যেটারে আমেরিকা সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয় নাই। তাহলে এতো বাজেট?
আমেরিকা এতো বোকা না, যে কোন কারন ছাড়া লোক দেখানো এতো বড় বাজেট করবে।
আবার ধারনা করা হচ্ছে ট্রাম্প এই বাজেট আরও অনেক বাড়াবেন।
আগেই বলেছে, ট্রাম্প ইলুমিনাতির সিলেক্টেড প্রেসিডেন্ট।
তাই আমার মনে হয় ট্রাম্প এর জন্যই এর বাজেট করেছিল ওবামা প্রশাসন । ট্রাম্প হয়তো এই বাজেট নিয়ে World War 3 এর জন্যই প্রস্তুত।
WW3 হবে one world order বাস্তবায়ন করার চুরান্ত প্রয়োগ।
তাদের পরিকল্পনা হচ্ছে ৩য় বিশ্বযুদ্ধে অন্তত ৫ বিলিয়ন মানুষ মারবে।
আপনার কাছে অসম্ভব মনে হচ্ছে?
পারমানবিক বোম বানাতে অনেক টাকা খরচ হয়। তারা এটা সাজিয়ে রাখবে না।
পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি নিউক্লিয়ার বোম মজুদ আছে রাশিয়ার কাছে(৮৫০০ প্রায়)। দ্বিতীয় স্থানে আমেরিকা(৭৫০০ প্রায়)। প্রকৃত সংখ্যা জানা যায় না।
মানুষ মেরে লাভ কি?
মানুষ না মারলে তারা পৃথিবী কন্ট্রোল এ নিতে পারবে না। কারন তারা শাসন করতে চায় একদম রুট লেভেল পর্যন্ত। কিন্তু জাতিগতভাবে মুসলিমরা ও আরও কিছু জাতি দাসত্ব স্বীকার করে না। তাই আমরা মরার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাব।
আর ২০০ কোটি মানুষ নিয়ন্ত্রণ করা বেশি সহজ হবে। তাদের ভাষ্যমতে, দূর্যোগ এর পরেই শান্তি আসে। তাই পৃথিবীর জনসংখ্যা কমে গেলে মানুষ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবে। খাদ্য চাহিদা কমবে, আরও অনেক কিছু। যতসব ভাউতাবাজি।
এতো চিন্তা থাকলে যাকাত বাধ্যতামূলক করুক? ৫ বছর পর পৃথিবীতে গরীব বলতে কিছু থাকবে না।
তো যা বলতাসিলাম,
তার পর পৃথিবীতে থাকবে ২ বিলিয়ন মানুষ, যাদের হবে একই ধর্ম ও জাতীত্ব।
বাস্তবে যতই আমেরিকা আর রাশিয়া শত্রুতার অভিনয় করুক না কেন, আসলে তা না।
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাগ হওয়ার পর, আজ পর্যন্ত আমেরিকা ও রাশিয়ার সম্মুখ যুদ্ধ হয় নাই। যা হয়েছে সব ছুচকামি
আমেরিকা আর রাশিয়া, উভয়ে শত্রু সেজে আসলে মুসলমান দের শক্তি কমিয়ে ফেলেছে। তারা মুসলিমদের দুই ভাগে ভাগ করেছে যেখানে সুন্নিরা যোগ দিয়েছে আমেরিকার সাথে আর শিয়ারা যোগ দিয়েছে রাশিয়ার সাথে।
যারা কারো সাথে যোগ দেয় না, তাদের অবস্থা হয় ইরাকের মতো। যদিও ইরাক আমেরিকান ব্লগে ছিল, পরে ব্লগ ছাড়ার কারনে আজ এই অবস্থা হয়।
তারা ভাগ করার জন্য মুসলিমদের বেছে নিয়েছে কারন, মুসলিমদের মত একতা অন্য ধর্মে কমই আছে। মুসলিমদের অবস্থা ১০০ বছর আগে এমন ছিল না। বর্তমানে "Divide and rule" কারনে এমন অবস্থা হয়েছে।
-পুতিন যতই রথচাইল্ডদের রাশিয়া থেকে ব্যান করুক না কেন, এগুলা লোক দেখানো। কোন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানই ইলুমিনাতিকে সেই দেশে স্বাদরে গ্রহন করে নেয় নাই। ইলুমিনাতি সেখানে কৌশলে ঢুকেছে। রাশিয়া ও এর বাহিরে না।
OWO এর লক্ষ্য হলো পরো পৃথিবী শাসন করা।
এখন প্রতিটা দেশকে হয় আমেরিকা লিড করছে, অথবা রাশিয়া। আর এদেরকে কন্ট্রোল করছে ইলুমিনাতি, এটাই তো তারা চায়।
কিন্তু World war 3 এর পর তারা আলটিমেট গোল এচিভ করবে। তখন আর আমেরিকা, রাশিয়া কে লাগবে না। রথচাইল্ডরা সরাসরি সব কন্ট্রোল করবে।

সুতরাং এখানে ww3 সিম্পটম গুলা হলো,
১/ ট্রাম্প পাগলায় ক্ষমতায় আসা।
২/সামরিক খাতে বিশাল বিনিয়োগ।
৩/ট্রাম্প-পুতিনের ভালো সম্পর্ক।
৪/শিয়া-সুন্নি ভাগ করা।
-আপনাদের মতামত ভিন্ন হতে পারে। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ইলুমিনাতি ৮

ইলুমিনাতি ৭

ইলুমিনাতি ৩