ইলুমিনাতি ৭
৭ম পর্ব
গত
পর্বে আমরা পিরামিড এর কিছু রহস্য এর ব্যপারে জেনেছি। কিন্তু তারা এই জ্ঞান ও
প্রযুক্তি কোথায় পেয়েছে এই ব্যপারে আমরা আলোচনা করি নি।
-ধারনা করা হয় তাদেরকে এই জ্ঞান ও প্রযুক্তি দিয়েছে শয়তান। এমনকি তাদের
সভ্যতা থেকেই সর্বপ্রথম বেফোমেট এর মুর্তি পাওয়া যায়। ফারাও রাজা রা শয়তান এর পূজা
করেই হয়তো এতো প্রযুক্তি জ্ঞান পেয়েছিল। কেননা আজ থেকে ৭১০০ বছর আগে তারা এমন
প্রযুক্তি কিভাবে ব্যবহার করলো যে আজকের বিজ্ঞানীরাও তার উত্তর খুজে পায় না।
আজকের
পর্ব টা আগের গুলোর চেয়ে একটু বোরিং হবে। কিন্তু এই বিষয়ে আমাদের জানা দরকার।
আজকে
আপনাদেরকে ইলুমিনাতি একটা অন্য এক ধরনের বিজনেস এর কথা বলি।
- এই বিজনেস টা হলো সফলতা দেওয়ার বিজনেস। এই বিজনেস করে ওদের একসাথে দুইটি
লক্ষ্য পূর্ন হয়। কিভাবে তা বলছি।
আমরা
জানি, ইলুমিনাতির
একমাত্র লক্ষ্য হলো One World Order.
এই
অর্ডার এর উদ্দেশ্য হলো পৃথিবীর সব মানুষকে এক কাতার এ রাখা। কিন্তু সেটা কোন ভালো
কাতার না। এই কাতার হবে শুধু গোলাম এর।
গোলাম
কারা হবে?
-আমরা
আর
শাষন করবে শুধু একটি সংগঠন।
বুঝিয়ে
বলছি। বর্তমান পৃথিবীর যত বড় সেলিব্রেটি আছে, তারা প্রায় সবাই ইলুমিনাতির সদস্য।
কেউ
সেলিব্রেটি হওয়ার পর ইলুমিনাতি জয়েন করে, আবার কেউ ইলুমিনাতির সাহায্য নিয়ে সেলিব্রেটি হয়।
ইলুমিনাটি কাউকে কনো উদ্দেশ্য ছাড়া কিছু দেয় না। সেলিব্রেটি বানায়, কিন্তু তার বিপরীতে ১৬ আনা উশিল করে নেয়।
এখন
বলি ব্যবসা টা কি-
আপনি
যদি ইলুমিনাতির ওয়েব সাইট এ যান,তাহলে দেখবেন ইলুমিনাতিতে খুব সহজেই জয়েন করা যায়।
আপনার নাম, দেশ, মোবাইল নাম্বার দিবেন।
তারা নিজেরাই আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। নিজেরা বলতে তাদের এজেন্ট আপনাদের সাথে
যোগাযোগ করবে।
তারা
আপনাকে একটা বই পড়তে দিবে,
যার নাম "ইলুমিনেটিয়াম"। বইটা কিছুটা হিপনোটাইজ এর মতো
কাজ করবে।
সেখানে
আপনাকে বলা হবে, "আগামি ৫০ বছর পর যে টেকনোলজি ব্যবহৃত হবে তা আমাদের কাছে এখনই আছে। আমাদের
কাছে আগামী ১০০ বছর এর প্ল্যানিং আছে", হ্যান-ত্যান আরও
অনেক কিছু।
কিন্তু
সবই ধান্দাবাজি। এগুলা সব টাকা হাতিয়ে নাওয়ার ধান্দা।
"ইলুমিনেটিয়াম" বই টা আপনাদের টাকা দিয়ে কিনতে হবে। দাম টা আমার মনে
নাই।
কিন্তু
মূল ব্যবসা আরও পরে। বইটা পড়ে আপনার যেই পরীক্ষা দিতে হবে, তা আপনার ভাগ্য
নির্ধারন করবে।
যদি
আপনার পরীক্ষার ফলাফল দেখে মনে হয় যে আপনাকে কাজে লাগানো যাবে, তাহলে আপনাকে তারা
তাদের সংগঠন এ নিয়ে নিবে।(কি কাজ তা পরে বলছি)
আপনাকে ১ মিলিয়ন ডলার এডভান্স, এবং ৫০০০০ ডলার প্রতি মাস পাবেন। এবং সাকসেসফুল বানানোর জন্য সসম্পূর্ণ সাপোর্ট দিবে।
আপনাকে ১ মিলিয়ন ডলার এডভান্স, এবং ৫০০০০ ডলার প্রতি মাস পাবেন। এবং সাকসেসফুল বানানোর জন্য সসম্পূর্ণ সাপোর্ট দিবে।
কিন্তু
মজার ব্যপার হলো, আপনার পরীক্ষা দেখে তাদের যদি মনে হয় যে আপনাকে দিয়ে কোন কাজ হবে না। তাও
তারা আপনাকে সংগঠন এ নিয়ে নিবে। কিন্তু পার্থক্য হলো তারা আপনাকে টাকা দিবে না।
বরং মাসিক কিছু চাঁদা নিবে।
কিন্তু
তাদের সবচেয়ে বড় আয় হলো,
তারা যেই সেলিব্রেটি,পলিটেশিয়ান,বিজনেসমেন দের তৌরী করে, তারা প্রতি মাসে বিশাল
অংকের একটা ফান্ড দেয় এই রথচাইল্ড ফেমিলিকে "One world order" এর জন্য। আমরা জানি পৃথিবীর সব বিশ্ব তারকারা যদি একটা সংস্থাতে ফান্ড করে
তবে তার আকার কেমন হতে পারে। তা হয়তো আপনার আমার চিন্তার বাইরে। এই ফান্ড এর
কারনেই মূলতো এতো জলদি ফুলে উঠছে।
এখন
হয়তো ভাবছেন, একবার ফেমাস সেলিব্রেটি,বড় পলিটেশিয়ান, বিশাল বিজনেসম্যান হওয়ার পর যদি তারা ফান্ড না করে? যদি
তারা ইলুমিনাতিকে সাপোর্ট করে তবে কি হবে?
একটা
কথা মনে রাখবেন, যারা ইলুমিনাতি করে তারা সবাই কিন্তু শয়তান এর পূজা করে না। বলা যায় যে,
যারা শয়তান এর পূজা করে তারা ইলুমিনাতির কোর টিম এর মেম্বার। এবং
অন্যরা সাধারণ সদস্য।
যদি
কেউ ইলুমিনাতির সাথে পোল্টি নেয়, তাহলে তার পরিণাম শুধুই মৃত্যু।
এমন
অনেক নজির আছে।
যেমন, মাইকেল জ্যাকসন,
বাদশাহ ফয়সাল, প্রিন্সেস ডায়না আরও অনেকে।
CIA(মার্কিন ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ) এবং MOSSAD(ইসরাইলি
ইন্টালিজেন্স এজেন্সি) প্রত্যক্ষভাবে এটা মনিটরিং করে।
(আমরা হয়তো জানি না, আমরা যে ফেসবুক চালাই তার লাভের
৬০% শেয়ার মোসাদ এর।)
যেহেতু
জুনিয়র বুশ ইলুমিনাতির খুব বড় সদস্য, এবং ৯/১১ এর মতো কাম করতে পারে, তার কাছে নিজের বাবাকে মারানো খুব বড় কিছু না।
আমি
বলেছিলাম ইলুমনাতি মানুষকে খুব বড় সেলিব্রেটি বানিয়ে আসলে ১ ঢিলে দুই পাখি মারে।
-প্রথমত, তারা একটা বিশাল অংকের ফান্ড তো পায়ই।
দ্বিতীয়ত, তারা ওই
সেলিব্রেটিদেরকে ব্যবহার করে মাইন্ড কন্ট্রোল করে।
মাইন্ড
কন্ট্রোলিং কি?
আমরা
সবাই, কেউ
এমিনেম এর ফ্যান, কেউ জাসটেন বেইবার এর, কেউ মাইকেল জ্যকসন এর, কেউ সেলিনা গোমেজ, কেউ পিটবুল, কেউ হানি সিং।
আমরা
সবাই কিন্তু নিজের ফেভারেট সেলিব্রেটিদের ফলো করি। হেয়ার-স্টাইল, ড্রেস-আপ, পারসোনালিটি, এটিটিউট.....এক কথায় সব।
সেই
সেলিব্রেটিরা কিন্তু আমাদের মেক্সিমাম টাইমে ভালো কিছু শিখায় না। বরং উগ্র এবং
উশৃংখল হতে শিখায়। র্যেপার রা কিন্তু আমাদের সেলফিশ হতে শিখায়। তাদের গান এ মনে
হয় সবকিছু শুধু আমিই পারি এবং আমিই সব।
এভাবে
তারা আমাদের কে মেন্টালি দূর্বল করে ফেলে। আমাদেরকে এমন করে ফেলে যে আমরা অন্যের
ভালো দেখতে পারি না।
ফলাফলস্বরূপ, আমরা নিজারাও লাইফ এ
বড় হতে পারি না, এবং অন্যকে ও হতে দেই না।এবং তাদের ও আমাদের
স্ট্যাটাস এর মাঝে বড় একটি বড় পার্থক্য তৌরী হয়।
আজ
মাইন্ড কন্ট্রোলিংটা সংক্্ষেপ এ বললাম।
পরবর্তী
পোস্ট এ ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স এ ইলুমিনাতি এবং www(World wide web) নিয়ে আলোচনা করবো।
শাহরুখ খান ইলুমিনাটি সদস্য হওয়ার
প্রমান- https://www.youtube.com/watch?v=rsKWq37krB8
সারা
বিশ্বে সকল ইলুমিনাতি সেলেব্রিটি এক ভিডিও তে (ট্রিপল সিক্স হ্যান্ড গেসচার এবং
মেসোনিক ট্রায়াঙ্গেল সাইন)। https://www.youtube.com/watch?v=aclrVO_RLAU